মায়ের দুধ দোহন এবং সংরক্ষণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মাতৃ দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি মায়েরই একটি সময় আসে যখন তাকে নিজের শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে বাহিরে যেতে হয়, তখন বুকের দুধ দোহন একটি অপরিহার্য কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
বুকের দুধ দোহন করার জন্য মায়েরা দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন: ম্যানুয়াল এবং ইলেকট্রিক পাম্প।
ম্যানুয়াল বুক দোহন: এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে মায়েরা নিজের হাতে বুকের দুধ বের করেন। এই পদ্ধতিটি সহজ, সস্তা এবং যে কোনো সময়ে যেকোনো জায়গায় করা সম্ভব।
ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের উপায়: ইলেকট্রিক ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারে খুব কম পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় এবং এটি দ্রুত দুধ দোহন করতে সহায়ক। তবে, ব্যবহারের আগে এর ব্যবহারবিধি ভালোভাবে পড়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
দুধ দোহনের পর সেটি সংরক্ষণ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।
দুধের পাত্র পরিষ্কার রাখা: বুকের দুধ সংরক্ষণ করার পাত্র অবশ্যই পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত হওয়া উচিত। এটি সংরক্ষণে দুধের পুষ্টিগুণ সংরক্ষিত থাকে।
বুকের দুধ ফ্রিজে রাখা: ফ্রিজে দুধ রাখার সময়, দুধের পাত্রকে সঠিকভাবে ঢেকে রাখতে হবে। ফ্রিজে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম তাপমাত্রায় ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত দুধ ভালো থাকে।
বুকের দুধ ফ্রিজে রাখা সময়সীমা: কোল্ড ফ্রিজারে স্তন দুধ রাখলে ৩ থেকে ৬ মাস এবং ডিপ ফ্রিজারে ৬-১২ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
ঠান্ডা দুধ উষ্ণ করার উপায়: ব্যবহার করার আগে দুধ গরম করার সময় রান্নাঘরের তাপমাত্রায় বা উষ্ণ পানির পাত্রে দুধের পাত্র রেখে দিতে পারেন। তবে মাইক্রোওয়েভে দুধ গরম করা এড়িয়ে চলা উচিত।
দুধ মিশ্রণ বিধি: একবার দুধ গরম হয়ে গেলে এবং খাওয়ানো হলে, বাকি দুধ পুনরায় ফ্রিজে রেখে দেওয়া উচিত নয়।
ব্রেস্ট ফিডিং সুবিধা এবং মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এটি শিশুর জন্য আদর্শ খাদ্য এবং শরীরের প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী। বুকের দুধে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান যা শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মায়ের দুধ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের নিয়ম মেনে চলা সবসময়ই ভালো। এতে আপনার শিশুর পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত হবে এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।