প্রতি বছর আগস্ট মাসের ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত পালিত হয় বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ। এই সপ্তাহটি পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হল স্তন্যপান করানোর গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। স্তন্যপান করানো কেবল মা ও শিশুর মধ্যে আবেগময় সম্পর্ক স্থাপন করে না, এটি উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুকের দুধের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। এতে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল সহ সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। বিশেষত বুকের দুধের অ্যান্টিবডি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে কার্যক্ষম সুরক্ষা তৈরি করে।
স্থন্যপান করানোর সময় মা এবং শিশুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা শিশুর মানসিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা ও শিশুর মধ্যে এই সম্পর্ক মা'র মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে, স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে মা'দের কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হতে পারে। স্তন্যপান সম্পর্কিত ক্লাস এবং পরামর্শকরা মা'দের সহায়তা করতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করে।
মায়েদের মানসিক সমর্থন প্রদান এবং তাদের জন্য কর্মস্থলে যথাযথ সুবিধা নিশ্চিত করা স্তন্যপান করানোকে আরও সহজ করে তোলে। সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি স্তন্যপান সম্পর্কিত স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে, যাতে মায়েরা তাদের শিশুদের সঠিকভাবে স্তন্যপান করাতে পারে।
বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ উদযাপন করে স্তন্যপান করানোর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা হয়। স্তন্যপান সম্পর্কিত পরামর্শ এবং কৌশলগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়, যাতে মা'রা এ বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। মা'দের সহায়তা এবং তাদের জন্য সহানুভূতিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
স্তন্যপান করানোর সঠিক সময়সূচী এবং পুষ্টির চাহিদা নির্ধারণে মা'দের সহায়তা প্রদান করা উচিত। শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্য এই বিষয়ের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সুতরাং, স্তন্যপান করানোর সময় মা'রা যাতে সঠিক স্বাস্থ্যনীতি অনুসরণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মাধ্যমে স্তন্যপান করানোর চর্চা আরও সুরক্ষিত এবং সফল হবে। বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ আমাদের এই চর্চাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান উদ্যোগ।